কৃষ্ণপক্ষের আলো (হার্ডকভার)
কৃষ্ণপক্ষের আলো (হার্ডকভার)
৳ ২৬০   ৳ ১৯৫
২৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

শাহিনুর, যাত্রাদলের এক সুন্দরী নর্তকী। বিধবা এ মেয়েটি ভিন্ন জাতের এক গানওয়ালার প্রেমে পড়লে ধর্ম ও সমাজ থেকে ছিটকে পড়ে। তার নাচ দেখতে এসে প্রেমে পড়ে যায় কিশোর বদি। শাহিনুরও এই কিশোরের প্রেমে হারিয়ে ফেলে জীবনের খেই। একসময় ভেঙে যায় ‘দি মাঝি অপেরা’। হারিয়ে যায় শাহিনুর। পর্দার আড়ালে থেকে এই নর্তকী তার প্রেমিকার প্রতিষ্ঠা পেতে অবদান রাখে। দীর্ঘ তেরো বছর পর জীবনের মঞ্চে আবার শাহিনুরের আবির্ভাব। ‘কৃষ্ণপক্ষের আলো’ নদী তীরবর্তী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এক অসাধারণ আলেখ্য। ঔপন্যাসিক আশ্চর্য কুশলতায় উঠিয়ে এনেছেন আবহমান বাঙলার অন্ত্যজ শ্রেণির শিল্প, সাহিত্য, ধর্ম, রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা। সুনিপুণভাবে চিত্রিত হয়েছে বাঙালি জাতির মহান অর্জন মুক্তিযুদ্ধের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির সূক্ষ্ম দিকসমূহ। ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা, পুরুষতান্ত্রিকতার নগ্ন থাবা লেখকের ক্ষুরধার তীর্যক আঁচড়ে অতি চমৎকাররূপে বাঙময় হয়ে উঠেছে। বিয়োগাত্মক এ গল্পে কেন্দ্রীয় চরিত্র শাহিনুর পতিত শ্রেণির এক বঞ্চিতা নারী। গল্পকার তার মুনসিয়ানা দিয়ে বাস্তবসম্মতভাবে পতিত এ নারীকে পাঠকের কাছে উপস্থাপন করেন মহীয়সী রূপে। শিল্পের সব ধারায় কাজ করলেও আনোয়ার হোসেন বাদল মূলত এক শক্তিমান কবি ও কথাশিল্পী। তার প্রকাশিত প্রত্যেকটি উপন্যাস নিঃসন্দেহে শিল্পগুণসমৃদ্ধ এবং সুখপাঠ্য। কৃষ্ণপক্ষের আলো বাংলাসাহিত্যে এক অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে প্রত্যাশা রইলো।
সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ
বহুমাত্রিক লেখক ও সাহিত্যজন

Title : কৃষ্ণপক্ষের আলো
Author : আনোয়ার হোসেন বাদল
Publisher : অনুপ্রাণন প্রকাশন
ISBN : 9789849373940
Edition : 1st Published, 2018
Number of Pages : 120
Country : Bangladesh
Language : Bengali

কবি ও উপন্যাসিক আনোয়ার হোসেন বাদল, দখিন জনপদের পায়রা তীরবর্তী পটুয়াখালীর রাজগঞ্জ গ্রামের মানুষ। গ্রামটি অনেক আগেই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। কবির বাপজান জয়নাল আবেদীন মুন্সী স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন মা হালিমা খাতুন পরহেজগার একজন বিদুষী মহিলা। লেখনীর মধ্যে বরাবরই উঠে এসেছে ভূমিহীন প্রান্তিক মানুষের কথা, লেখক নিজেও তাদেরই একজন। সমাজতান্ত্রিক ভাবাদর্শে বড় হয়েছেন সঙ্গত কারণেই ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার এবং সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে এক জীবনের লড়াই। সামরিক, বেসামরিক নানাবিধ পেশায় কাজ করে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা কুড়িয়েছেন লেখক যা তাঁর লেখায় দৃশ্যমান। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া ভূমিহীন এ মানুষটির আর্থিক টানাপোড়েন কোনোদিনই পিছু ছাড়েনি, তবু এই দৈন্যতাকে তিনি খোদার আশীর্বাদ হিসেবে নিয়েই মাথা উঁচু করে পথ চলেছেন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]